অধ্যক্ষের বাণী

আজিয়ারা এবং আশে পাশের এলাকার সাধারণ মানুষের শিক্ষার চাহিদা পূরণ করতে ১৯৮৪ সালে সমাজের কিছু গুণী সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগীদের সহযোগিতায় অত্র আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবদান রাখেন অত্র এলাকার সম্মানিত কৃতি সন্তান এবং এলাকার সর্বস্তরের মানুষের প্রাণ প্রিয় নেতা জনাব, মরহুম আলহাজ্ব মাষ্টার আলী আক্কাছ ভূঁইয়া ও মরহুম আলহাজ্ব মীর কাসেম ভূঁইয়া সহ আরো অনেকে।

আমি প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর রাত দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে তখনকার সময়ে কর্মরত শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় ১৯৯৪ইং সালে জুনিয়র বিদ্যালয় স্বীকৃতি, ১৯৯৫ইং সালে শিক্ষক ভাতা, ১৯৯৬ইং সালে নবম শ্রেণি পাঠ দানের অনুমতি, ১৯৯৭ইং সালে ১০ম শ্রেণি পাঠদান ও এস.এস.সি পরীক্ষা অংশগ্রহণের অনুমতি এবং ১৯৯৯ইং সালে পূর্ণাঙ্গ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পাই।

শিক্ষা সংস্কৃতি আর ঐশ্বর্যে পরিপূর্ণ আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়। মেঘনা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের মতো প্রবাহমান স্রোতের মতো এ বিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীর জীবন হয়ে উঠুক কর্মময়, গতিময় আর ছন্দময়। এখানকার শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনে আমি তাদের আপন সন্তানের মতো আগলে রাখার চেষ্টা করি। বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে তাদের সকল চাওয়া পাওয়া, আশা-আকাঙ্খা, পূরণ করতে পারিনা।

তবে তাদের প্রতিটি সুখ দুঃখের শতভাগ অংশিদার হওয়ার একান্ত ইচ্ছা আমার থাকে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শতভাগ চেষ্টা ও আন্তরিকতায় অত্র বিদ্যালয় বিগত কয়েক বছর জে.এস.সি ও এস.এস.সি পরীক্ষায় প্রসংশনীয় ফলাফল করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও এই সফলতার ধারা অভ্যাহত রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। পাঠ্য বইয়ের পড়া লেখার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আধুনিক, সৃজনশীল ও বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষা দেওয়ার প্রয়াস আমাদের।

আমারও প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যালয়ের অবকাঠামো ও লেখাপড়ার মান উন্নয়নে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন সহ বিভিন্ন সহ-পাঠক্রমিক কার্যাবলির পাশাপাশি সাহিত্য, সংস্কৃতি ও চিত্ত বিনোদনের জন্য বিভিন্ন বিনোদনমূলক কর্মসূচী পালন করে আসছি। এবারই প্রথম ৩০ বছর পূর্তি উৎসব ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হচ্ছে ও এই উপলক্ষে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করেছি। উক্ত অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী জনাব আ.হ.ম. মোস্তফা কামাল এফ.সিএ. (লোটাস কামাল) এম.পি. মহোদয় বিশ্বময় জননন্দিত একজন গুণীব্যক্তি। শত ব্যস্ততার মাঝেও তিনি আমাদের অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করায় আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।

সে সাথে স্মরণিকা প্রকাশে আহ্বায়ক কমিটিসহ যারা নিরলস পরিশ্রম করেছে তাদের প্রতি আমার আন্তরের অন্তঃস্থল হতে সর্বাত্মক অভিবাদন ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একটি আধুনিক মানসম্পন্ন ও আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে শিক্ষার্থীদের কোনো প্রয়োজন পূরণের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষা প্রদানের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ প্রয়োজন। যেমন একটি কম্পিউটার, একটি বিজ্ঞানগার এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষার যথাযথ পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ভবন নির্মাণ (দ্বি’তলে উন্নীত করণ), আসবাবপত্র, খেলার মাঠ, খেলনা সামগ্রীর ব্যবস্থা করণ। সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধানসহ আরো অনেক সুযোগ সুবিধা প্রয়োজন।

আমার বিণীত নিবেদন মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উল্লেখিত সমস্যাগুলো সমাধানে আন্তরিক সহযোগিতা করবেন। আমার বিশ্বাস উক্ত বিদ্যালয়ের যাবতীয় সমস্যা নিরসন কল্পে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক মন্ডলী, অভিভাবক ও এলাকার সর্বস্তরের মানুষের সার্বিক সহযোগিতা পেলে একদিন এই বিদ্যালয় এলাকার সুনামধন্য একমাত্র বিদ্যালয় হিসেবে পরিচিতি পাবে নিশাআল্লাহ।

পরিশেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নতি কামনা করছি ।

(জালাল আহাম্মদ)
প্রধান শিক্ষক
বি.কম, বি.এড (ব্যবস্থাপনা)
এম. কম, এম, এড (প্রশাসন)